ঢাকা , শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫ , ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করতে হবেÑপ্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারেÑ দুদু নিহত সাংবাদিকের পরিবারের পাশে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সচেতনতার অভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু মৃত্যুঝুঁকি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩০৮ বৈষম্যমুক্ত নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবি সরকারি কর্মচারীদের ৪৯তম বিসিএসের ফল ৭-১০ দিনের মধ্যে, ভাইভা ২৬ অক্টোবর থেকে বাহাত্তরের চেতনার বিরুদ্ধে গেলেই রাজাকার ট্যাগ দেওয়া হতো : মামুনুল পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন দিতে হবে -চরমোনাই পীর সঠিক স্থান নির্ধারণ না হওয়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ হবে-ত্রাণ উপদেষ্টা নির্বাচন বানচালে গুজব, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক প্রচারণা রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৩০৯ বাংলাদেশি জুলাই সনদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি-রিজভী ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ছুটির দিনে বৃষ্টি-যানজটে দুর্ভোগ বাজারে শীতকালীন সবজি, দাম চড়া সব ধর্ম অবমাননায় সমান আইন ও শাস্তির দাবি হিন্দু যুব মহাজোটের আতঙ্কে গুঁইমারার পাহাড়িরা চাকা ফুটো করায় ট্রাফিক পুলিশের মাথা ফাটালেন রিকশাচালক

সব ধর্ম অবমাননায় সমান আইন ও শাস্তির দাবি হিন্দু যুব মহাজোটের

  • আপলোড সময় : ১১-১০-২০২৫ ১২:৪১:১৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-১০-২০২৫ ১২:৪১:১৪ অপরাহ্ন
সব ধর্ম অবমাননায় সমান আইন ও শাস্তির দাবি হিন্দু যুব মহাজোটের
নাগরিক হিসেবে সব ক্ষেত্রে সমতা ও ন্যায্যতার দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট’। একইসঙ্গে দেশে বিদ্যমান সব ধর্মের অবমাননা রোধে সুস্পষ্ট আইন প্রণয়ন ও সব ধর্মের অবমাননার বিচারের ক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিত করাসহ চার দাবি জানিয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি প্রদীপ কান্তি দে বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমাগতভাবে ধর্ম অবমাননার বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে। আগে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু ধর্ম অবমাননা ও হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রদায়িক বিভিন্ন হামলার ঘটনা ঘটতে দেখা যেতো। বর্তমানে সংখ্যায় কম হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অন্যান্য ধর্মের ধর্মগ্রন্থ বা মহাপুরুষদের প্রতিও অবমাননাকর মন্তব্য করাটাও আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠী হিসেবে সনাতনি হিন্দু সম্প্রদায় বিদ্যমান সব ধর্মের অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান সব ধর্মের অবমাননা রোধে সুস্পষ্ট আইন প্রণয়ন ও সব ধর্মের অবমাননার বিচারের ক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিত করা হোক। তিনি আরও বলনে, ধর্ম অবমাননা প্রতিরোধে আইনে সুস্পষ্টভাবে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, প্যাগোডায় হামলা; প্রতিমা ভাঙচুর; সব ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সব ধর্মের ধর্মীয় মহাপুরুষ বা পয়গম্বরদের অযৌক্তিক কটুক্তির ক্ষেত্রে দোষীর শাস্তি নির্দিষ্ট করে পেনাল কোডে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে, কোনও নির্দোষ ব্যক্তিকে যেন ফাঁসানো না হয়। বিচার যেন ত্রুটি ও প্রভাবমুক্ত হয়। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে বলছি, প্রতিটি ধর্মের অবমাননার ঘটনা ঘটলে আইনের প্রয়োগ যেন সমান হয়। ধর্মীয় কোনও সভা থেকে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম বা উপাস্য নিয়ে টুক্তি করা হলে আইনগতভাবে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে জানিয়ে ধর্মীয় এ নেতা বলেন, কোনও ধর্মের ধর্মীয় বক্তা অন্য ধর্মকে কটুক্তি করতে পারবে না। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে আন্তঃধর্মীয় সুস্থ আলোচনার পথ যেন রুদ্ধ না হয়। সব ধর্মের ক্ষেত্রেই যেন সবাই সমানভাবে সুবিচার পেতে পারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ফেসবুকে গুজব রটিয়ে রামুতে সাম্প্রদায়িক হামলার মাধ্যমেই মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রথম বড়সড় সাম্প্রদায়িক হামলার সূচনা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের সাম্প্রদায়িক হামলা, যশোরের অভয়নগর মালোপাড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলা, রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলা, কুমিল্লার হোমনায় সাম্প্রদায়িক হামলা, ভোলার বোরহানউদ্দিনে সাম্প্রদায়িক হামলা, হবিগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনাসহ আরও অসংখ্য আলোচিত ঘটনা সবারই জানা। সব ক্ষেত্রেই একই প্যাটার্নে এ হামলা হয়েছে। প্রথমে ফেসবুকে কোনও হিন্দু যুবকের বিরুদ্ধে কথিত ধর্ম অবমাননার গুজব তৈরি করা হয়েছে। এরপর মব তৈরি করে সংগঠিতভাবে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে, বাড়িঘর লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছে। মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ধর্ম অবমাননার নাম করে মব তৈরি করে নির্দোষ জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সব ব্যক্তিকেও শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। ব্যক্তির দায়ে সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হবে না। ইসলামিক ধর্মীয় সংগঠনগুলোর নেতৃস্থানীয় আলেম ওলামাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে প্রদীপ কান্তি দে বলেন, আমাদের প্রিয় দেশটিতে সবাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে চাই। এ ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মাবলম্বী হওয়ায় আপনাদের ভূমিকা ও সামর্থ্য স্বাভাবিকভাবেই আমাদের চেয়ে বেশি থাকবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমরা একে অন্যের হাত ধরে রাখতে চাই। তিনি বলেন, সব ধর্মের ধর্মীয় নেতৃস্থানীয়দের প্রভাব নিজ নিজ জনগোষ্ঠীর ওপর থাকে। নিয়মিত বিরতিতে সব ধর্মীয় নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ এ ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যকার অবিশ্বাস দূর করে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় করতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে চার দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো– সব ধর্মের অবমাননার জন্য সমান আইন ও শাস্তির বিধান করতে হবে; ধর্ম অবমাননার অজুহাতে কোনও গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক হামলা চালালে তাদের জন্য শাস্তির বিধান করতে হবে; বিগত সময়ে ধর্ম অবমাননার অজুহাতে যেসব সংখ্যালঘু এলাকায় হামলা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির বিধান করতে হবে এবং অতীতে কথিত ধর্ম অবমাননার মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত সবাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– হিন্দু যুব মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ নাহা, সাবেক সভাপতি সজীব বৈদ্য, ঢাকা মহানগর হিন্দু যুব মহাজোটসহ ছাত্র ও যুব মহাজোটের নেতারা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ